আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা শেয়ার করব “মানবাধিকার“। এই রচনাটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই রচনাটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
মানবাধিকার
ভূমিকা : ‘অধিকার কেউ কাউকে স্বেচ্ছায় দেয় না, কেড়ে নিতে হয়’- এ কথাটা প্রায় প্রবাদের মতো মানবসমাজে বহুকাল আগে থেকে চলে আসছে। শিশু না কাঁদলে মা-ও দুধ দেয় না’- এ কথায়ও অধিকার আদায়ের বার্তাটাই প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষ মানুষকে কেবল দাবিয়ে রাখতে চায়, কোণঠাসা করতে চায়— সবল দুর্বলকে, ক্ষমতাবান ক্ষমতাহীনকে, ধনী দরিদ্রকে, প্রভাবশালী সাধারণ মানুষকে, রাজা প্রজাকে। পেশিশক্তির দাপট, অর্থের দাপট, ক্ষমতার দাপট, অস্ত্রের দাপটে সাধারণের সুখ, শান্তি, নিরাপত্তা এখন প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। এসব অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অশান্তি ও বিপর্যয় ঘটছে মাত্র একটা কারণে, তা হলো মানবাধিকার সম্পর্কে অসচেতনতা এবং এটা কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠায় সমাজ তথা রাষ্ট্রের অবহেলা।
মানবাধিকার কী : মানুষ হিসেবে মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার ও বিকাশ সাধনের প্রক্রিয়াই মানবাধিকার। অন্যভাবে বলা যায়, মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ সর্বজনীনভাবে স্বীকৃতি লাভ করাকেই বলে মানবাধিকার। পৃথিবীর দেশে দেশে জাতি-ধর্ম- বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে প্রত্যেকটি প্রজন্ম যেন যথাযথ যত্ন ও পরিচর্যায় লালিত-পালিত হয়ে সুশৃঙ্খলভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং সমানভাবে অধিকার ভোগ করতে পারে, তা নিশ্চিত করাই মানবাধিকারের মূলকথা।
মানবাধিকারের প্রেক্ষাপট : জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-ভাষা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে বহুকাল থেকে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, ঝগড়া-বিবাদ, যুদ্ধ-হানাহানি হয়ে আসছে। গোষ্ঠীবাদ, সম্প্রদায়বাদ, আধিপত্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদ এসব নানা কারণে দাঙ্গা-সংঘাত আজও অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সংঘটিত হয়েছে দু-দুটি বিশ্বযুদ্ধ। জাতিগত বিদ্বেষ ছড়িয়ে লাখ লাখ মানুষকে এ সময় হত্যা করা হয়েছে। পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে লাখ লাখ নিরপরাধ মানুষকে। এছাড়া দেশে দেশে রাজনৈতিক সংঘাত এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মানবাধিকার। আফ্রিকাজুড়ে, ভারতীয় উপমহাদেশে, ইংল্যান্ডে, জিম্বাবুয়েতে বিপন্ন মানুষ বর্ণ ও জাতিবিদ্বেষে জর্জরিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে কিছু মানুষ যেন পরিণত হয়েছে মৃঢ়- নিষ্ঠুর পশুতে, কলঙ্কিত করেছে মানবসভ্যতা আর আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে মানবাধিকার। সচেতন বিশ্বমানবের জন্য বিব্রতকর এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিশ্বশান্তি ও শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে, মানুষের মধ্যে সাম্য-মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অগ্রাধিকার পেয়েছে।
মানবাধিকারের ক্রমবিকাশ : সুদূর অতীতে মানবাধিকার সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণাই ছিল না। পরিবার বা সমাজে যা কিছু প্রচলিত ছিল, তা ছিল স্বাভাবিক, স্বচ্ছন্দ ও গতানুগতিক। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষের নিজ অধিকার সম্পর্কে ধারণা এবং তা ক্রমশ পরিচ্ছন্ন রূপ লাভ করে। খ্রিস্টপূর্ব দুই হাজার বছরেরও আগে পৃথিবীর প্রাচীনতম আইন সংকলন পাওয়া যায় ব্যাবিলনের রাজা হাম্বুরাবির নিয়মাবলিতে। বৌদ্ধধর্মে স্বীকৃতি পেয়েছে মানুষের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা। সেখানে কোনো ভেদাভেদ নেই । খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে মদিনায় বহুধর্মভিত্তিক সমাজে হজরত মুহম্মদ (স.) কর্তৃক প্রণীত ‘মদিনা সনদে’ সকল নাগরিকের সমঅধিকারের স্বীকৃতির কথা রয়েছে। পরবর্তী সময়ে মানবাধিকারের ধারণা প্রতিফলিত হয়েছে দার্শনিক রুশো, হুগো, জন লক, কার্ল মার্কস প্রমুখ মনীষীর গ্রন্থে । তবে ১২১৫ সালে ইংল্যান্ডে প্রণীত ‘ম্যাগনাকার্টা’কে মানবাধিকারের প্রথম চার্টার হিসেবে গণ্য করা হয়। এরপর ১৭৭৬ সালে প্রণীত আমেরিকার ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’, ১৭৮৯ সালে রচিত ফরাসি বিপ্লবের ‘মানবাধিকার’-এর ডিক্লারেশন, ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের বাণী মানবাধিকার অর্জনের এক-একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় ।
মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণা : ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের পারি নগরীতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণা গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ ঘোষণা করে এবং দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সকল রাষ্ট্র ও আগ্রহী সংস্থাকে আহ্বান জানায়। ‘মানবাধিকার সনদ’-এ রয়েছে ৩০টি ধারা। এর মধ্যে ১৯টি নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত, ৬টি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত ।
‘মানবাধিকার সনদ’-এর মূলকথা : জাতিসংঘ গৃহীত ‘মানবাধিকার সনদ’-এ স্বীকৃত মৌলিক অধিকারসমূহ হলো :
১. মানুষ জন্মগতভাবে সমমর্যাদা ও সমঅধিকার ভোগ করার অধিকারী।
২. জাতি-ধর্ম-বর্ণ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষেরই বিয়ে করার ও পরিবার গঠনের অধিকার, সম্পত্তি অর্জনের অধিকার এবং সংঘবদ্ধ হওয়ার অধিকার রয়েছে।
৩. প্রতিটি মানুষের স্বাধীনভাবে চিন্তা করার, বাকস্বাধীনতার, ভোট প্রদানের ও স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চার অধিকার রয়েছে ।
৪. প্রতিটি মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা, বিশ্রাম ও বিনোদন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অধিকার রয়েছে।
৫. সমাজ বা রাষ্ট্রের সদস্য হিসেবে প্রতিটি মানুষের রয়েছে কর্মের ও উপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভের অধিকার।
৬. প্রতিটি মানুষের শিক্ষা ও ঐতিহ্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে।
৭. অন্যের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বা অন্যের অধিকার হরণের অধিকার কারও নেই।
৮. মানবাধিকার সনদে উল্লিখিত যেকোনো অধিকার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ ।
বিশ্বে মানবাধিকারের স্বরূপ : জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার সনদ গৃহীত হওয়ার পরও বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ও ষড়যন্ত্রের ভয়াবহ রূপ প্রকাশ পাওয়ার পর তা চরমভাবে নিন্দিত হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত দেশ বা দেশগুলোর কারও কোনো শাস্তি হয়নি। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য চলছে এবং শাস্তিও হচ্ছে। অথচ সনদের প্রতি বৃদ্ধাঙুল দেখিয়ে দীর্ঘকাল চলেছে ভিয়েতনাম-কম্বোডিয়া যুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধ, ফিলিস্তিন ও সার্বিয়া-হার্জেগোভেনিয়া যুদ্ধ। এছাড়া গৃহযুদ্ধ চলেছে লিবিয়ায়, মিসরে এবং সম্প্রতি চলছে সিরিয়ায়। এসব যুদ্ধ-বিগ্রহে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং হচ্ছে চরমভাবে। লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে, হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, বাড়িঘরে লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাঞ্ছিত হয়েছে কত নারী, খাদ্যাভাবে মৃত্যু হয়েছে কত শিশুর কে জানে! পৃথিবীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এখনও চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতা এবং নারী-পুরুষের সমঅধিকারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত স্নায়ুযুদ্ধের কারণেও বিশ্ববাসীর কম ক্ষতি হয়নি। পৃথিবীতে দিন দিন দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অপুষ্টিতে ভুগছে ৮০ শতাংশ শিশু। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে এখনও কোটি কোটি মানুষ বঞ্চিত । দরিদ্র মানুষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। দরিদ্র তথা উন্নয়নশীল দেশের মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত। তারা মানবাধিকারের ৩০ ভাগ সুযোগ-সুবিধাও পায় না।
মানবাধিকার ও বাংলাদেশ : ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং তাদেরকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী এদেশের ৩০ লাখ নিরপরাধ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আড়াই লাখ মা-বোনকে লাঞ্ছিত করেছে, ৬২ হাজার গ্রাম লুটপাট করে পুড়িয়েছে। তাদের অত্যাচার-নিপীড়নে নিজ দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশে শরণার্থী হয়েছিল প্রায় ১ কোটি মানুষ । এর সবই মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন । এ ছাড়া মড়ার উপর খাড়ার ঘা’-এর মতো মায়ানমার থেকে বিতাড়িত ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে মায়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ শরণার্থীদের। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মায়ানমারও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আর এ কারণে বাংলাদেশে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ বজায় রেখে হাজার বছর ধরে পাশাপাশি অবস্থান করছে। এ দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ। তারপরও এ দেশে ছিটেফোঁটা যেসব ঘটনা ঘটে সেগুলো রাজনৈতিক ও দলীয় প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে অথবা ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে। সরকার বদলের পরই এদেশে বিরোধীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এগুলো অবশ্যই মানবতাবিরোধী। এসময় সন্ত্রাসী ও জঙ্গীগোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা রাজনীতির ছত্রছায়ায় বোমাবাজি করে, গাড়ি ভাঙচুর করে, পেট্রলবোমা মেরে যাত্রীসহ গাড়ি পোড়ায়, বাড়িঘর-অফিস-আদালতে লুটপাট চালায় ও অগ্নি-সংযোগ করে। এতে মূল্যবান প্রাণ ও সম্পদ হারিয়ে জাতি হতবিহ্বল হয়ে যায়। চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা খুবই মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক । এছাড়া হিন্দুপাড়া পুড়িয়ে দেওয়া, বৌদ্ধপাড়ায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, মন্দির, প্যাগোডা, চার্চের ক্ষতিসাধন করা— এসব অবশ্যই ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের পরিচায়ক এবং নিঃসন্দেহে মানবতাবিরোধী কাজ। অথচ বাংলাদেশের সিংহভাগ উদার, ধর্মপ্রাণ ও সংস্কৃতিমান মানুষ এ ধরনের নৃশংস কাজ কখনো সমর্থন করে না ।
উপসংহার : বিশ্বের মানুষ এখন বেশ দ্রুত অধিকারসচেতন হয়ে উঠছে। অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিবাদ করছে, আন্দোলন করছে। মানুষ এখন নারী, শিশু, বৃদ্ধ, পঙ্গু ও অক্ষমদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। মানবাধিকার বাস্তবায়নে মানুষের মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি দেশ সবিশেষ নজর দিচ্ছে। এছাড়া মানুষের মর্যাদা ও অধিকারের স্বীকৃতি দানের ব্যাপারে আরও বেশি আন্তরিকতা ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ খুবই জরুরি। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদে স্বাক্ষর করেছে এবং মানবাধিকারের সব ধারা আন্তরিক ও আইনানুগভাবে রক্ষা করার বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। একইভাবে তৃতীয় বিশ্বের মানুষও এখন মানবাধিকার সচেতন হচ্ছে। কেননা ‘হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ’-এর মতো মানবাধিকার রক্ষার সংগঠনগুলো পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে। ফলে মানুষে মানুষে শোষণের অবসান ঘটবে, মানুষকে ছোট বা অবহেলা করার প্রবণতা হ্রাস পাবে। পৃথিবীজুড়ে প্রতিটি মানুষ নিজ অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে সুখ-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে রচনা যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই রচনা নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।