আজ আমরা কথা বলব এমন একটা জিনিস নিয়ে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুব দরকারি – পরিবাহী (Conductor)। ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট থেকে শুরু করে বিদ্যুতের তার, সব কিছুতেই এর ব্যবহার। তাহলে চলুন, দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক পরিবাহী আসলে কী, এর বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী এবং কেন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ।
বিদ্যুৎ আমাদের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আলো জ্বালানো থেকে শুরু করে মোবাইল চার্জ করা পর্যন্ত, প্রায় সবকিছুই বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। আর এই বিদ্যুৎকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবাহী অপরিহার্য। তাই “পরিবাহী কাকে বলে” – এই প্রশ্নের উত্তর জানা আমাদের সবার জন্য খুব জরুরি।
পরিবাহী কী? (What is a Conductor?)
সহজ ভাষায়, পরিবাহী হল সেই পদার্থ যা নিজের মধ্যে দিয়ে খুব সহজে বিদ্যুৎ বা তাপ প্রবাহিত করতে পারে। এর কারণ হল পরিবাহীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মুক্ত ইলেকট্রন (free electrons) থাকে। এই মুক্ত ইলেকট্রনগুলোই মূলত বিদ্যুৎ পরিবহনে সাহায্য করে।
অর্থাৎ, যে সকল পদার্থের মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রন খুব সহজে চলাচল করতে পারে এবং বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে, তাদেরকেই পরিবাহী বলা হয়।
পরিবাহীর মূল বৈশিষ্ট্য (Key Features of Conductors)
- নিম্ন রোধ (Low Resistance): পরিবাহীর রোধ খুব কম থাকে, যার ফলে বিদ্যুৎ সহজে প্রবাহিত হতে পারে।
- মুক্ত ইলেকট্রন (Free Electrons): এদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন থাকে।
- উচ্চ পরিবাহিতা (High Conductivity): বিদ্যুৎ পরিবহনে এদের দক্ষতা অনেক বেশি।
পরিবাহী এবং অন্তরকের মধ্যে পার্থক্য (Conductor vs. Insulator)
পরিবাহী এবং অন্তরক (insulator) – এই দুটো জিনিস একে অপরের বিপরীত। পরিবাহী যেখানে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে, অন্তরক সেখানে বিদ্যুৎ পরিবহনে বাধা দেয়। নিচে একটা টেবিলের মাধ্যমে এদের পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো:
বৈশিষ্ট্য | পরিবাহী (Conductor) | অন্তরক (Insulator) |
---|---|---|
বিদ্যুৎ পরিবহন ক্ষমতা | খুব ভালো | খুব কম বা নেই |
মুক্ত ইলেকট্রন | প্রচুর | প্রায় নেই |
রোধ (Resistance) | খুব কম | খুব বেশি |
উদাহরণ | তামা, সোনা, রুপা | কাঠ, প্লাস্টিক, রাবার |
পরিবাহীর প্রকারভেদ (Types of Conductors)
পরিবাহী বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রধান প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো:
ধাতব পরিবাহী (Metallic Conductors)
ধাতব পরিবাহীগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এদের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রনের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে।
- উদাহরণ: তামা (Copper), অ্যালুমিনিয়াম (Aluminium), সোনা (Gold), রুপা (Silver)
এই ধাতুগুলো সাধারণত ইলেক্ট্রনিক তার, ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি এবং পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইনে ব্যবহৃত হয়।
তরল পরিবাহী (Liquid Conductors)
কিছু তরল পদার্থ আছে যারা বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে। এদের মধ্যে আয়ন (ions) থাকে, যা বিদ্যুৎ পরিবহনে সাহায্য করে।
- উদাহরণ: লবণাক্ত জল (Saltwater), অ্যাসিড দ্রবণ (Acid solutions)
এগুলো ব্যাটারি এবং ইলেক্ট্রোপ্লেটিং-এর কাজে লাগে।
গ্যাসীয় পরিবাহী (Gaseous Conductors)
কিছু গ্যাস বিশেষ অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে। যেমন, আয়নিত গ্যাস (ionized gas)।
- উদাহরণ: নিয়ন গ্যাস (Neon gas), মার্কারি ভ্যাপার (Mercury vapor)
এগুলো সাধারণত নিয়ন বাতিতে (neon lights) এবং বিশেষ ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়।
পরিবাহীর ব্যবহার (Applications of Conductors)
পরিবাহীর ব্যবহার আমাদের জীবনের প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:
- বিদ্যুৎ পরিবহন (Electrical Transmission): বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য তামার তার ব্যবহার করা হয়। কারণ তামা খুব ভালো পরিবাহী।
- ইলেক্ট্রনিক্স (Electronics): কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে পরিবাহী ব্যবহার করা হয়।
- মোটর এবং জেনারেটর (Motors and Generators): বৈদ্যুতিক মোটর এবং জেনারেটরের কয়েলে তামা বা অ্যালুমিনিয়ামের তার ব্যবহার করা হয়।
- হিটিং উপাদান (Heating Elements): বৈদ্যুতিক হিটার এবং ইস্ত্রিতে পরিবাহী ব্যবহার করা হয়, যা বিদ্যুৎকে তাপে রূপান্তরিত করে।
পরিবাহী হিসেবে বিভিন্ন পদার্থের আপেক্ষিক পরিবাহিতা (Conductivity of Different Materials)
বিভিন্ন পদার্থের পরিবাহিতা বিভিন্ন রকম হয়। নিচে কয়েকটি পরিচিত পদার্থের পরিবাহিতা উল্লেখ করা হলো:
পদার্থ | আপেক্ষিক পরিবাহিতা (Relative Conductivity) |
---|---|
রুপা (Silver) | 100 |
তামা (Copper) | 97 |
সোনা (Gold) | 76 |
অ্যালুমিনিয়াম (Aluminium) | 59 |
লোহা (Iron) | 17 |
এই তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে যে রুপা সবচেয়ে ভালো পরিবাহী। কিন্তু দাম বেশি হওয়ার কারণে তামাই বেশি ব্যবহৃত হয়।
কেন তামা বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য এত জনপ্রিয়? (Why is Copper so Popular for Electrical Conductivity?)
তামা (Copper) বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য এত জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:
- উচ্চ পরিবাহিতা (High Conductivity): তামার পরিবাহিতা খুবই ভালো, যা বিদ্যুৎকে সহজে প্রবাহিত করতে সাহায্য করে।
- নমনীয়তা (Ductility): তামা খুব নমনীয় ধাতু, তাই একে সহজে তারের আকারে পরিণত করা যায়।
- তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য (Relatively Affordable): রুপার চেয়ে তামার দাম অনেক কম, তাই এটা বেশি ব্যবহার করা হয়।
- ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা (Corrosion Resistance): তামার ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো, তাই এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
এই কারণগুলোর জন্য তামা বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য প্রথম পছন্দ।
পরিবাহীর প্রকারভেদ এবং ব্যবহার – বিস্তারিত আলোচনা (Detailed Discussion on Types and Uses of Conductors)
বিভিন্ন প্রকার পরিবাহী বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। নিচে এদের ব্যবহার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
ধাতব পরিবাহী (Metallic Conductors)
- বৈশিষ্ট্য: এদের মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন বেশি থাকে এবং বিদ্যুৎ পরিবহন ক্ষমতা খুব ভালো।
- ব্যবহার: ইলেক্ট্রনিক তার, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, পাওয়ার গ্রিড ইত্যাদি।
- কিছু উদাহরণ: তামা, অ্যালুমিনিয়াম, সোনা, রুপা।
তামার ব্যবহার (Uses of Copper)
- বিদ্যুৎ সরবরাহের তার
- ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির ভেতরের তার
- মোটর এবং জেনারেটরের কয়েল
অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার (Uses of Aluminium)
- পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইন
- বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম
- কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ
তরল পরিবাহী (Liquid Conductors)
- বৈশিষ্ট্য: এদের মধ্যে আয়ন থাকে যা বিদ্যুৎ পরিবহনে সাহায্য করে।
- ব্যবহার: ব্যাটারি, ইলেক্ট্রোপ্লেটিং ইত্যাদি।
- কিছু উদাহরণ: লবণাক্ত জল, অ্যাসিড দ্রবণ।
লবণাক্ত জলের ব্যবহার (Uses of Saltwater)
- কিছু বিশেষ ধরনের ব্যাটারিতে
- বিদ্যুৎ পরিবাহী পরীক্ষা করার জন্য
অ্যাসিড দ্রবণের ব্যবহার (Uses of Acid Solutions)
- ব্যাটারির ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে
- ইলেক্ট্রোপ্লেটিং-এর কাজে
গ্যাসীয় পরিবাহী (Gaseous Conductors)
- বৈশিষ্ট্য: বিশেষ অবস্থায় আয়নিত হয়ে বিদ্যুৎ পরিবহন করে।
- ব্যবহার: নিয়ন বাতি, বিশেষ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ইত্যাদি।
- কিছু উদাহরণ: নিয়ন গ্যাস, মার্কারি ভ্যাপার।
নিয়ন গ্যাসের ব্যবহার (Uses of Neon Gas)
- নিয়ন বাতিতে
- বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ডে
মার্কারি ভ্যাপারের ব্যবহার (Uses of Mercury Vapor)
- ফ্লুরোসেন্ট বাতিতে
- বিশেষ ধরনের বাতি এবং ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে
পরিবাহী নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয় (Factors to Consider When Choosing a Conductor)
সঠিক পরিবাহী নির্বাচন করার সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হলো:
- পরিবাহিতা (Conductivity): বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী পরিবাহিতা নির্বাচন করতে হবে।
- খরচ (Cost): বাজেট অনুযায়ী পরিবাহী নির্বাচন করতে হবে।
- ওজন (Weight): কিছু ক্ষেত্রে, যেমন উড়োজাহাজে হালকা ওজনের পরিবাহী ব্যবহার করা জরুরি।
- পরিবেশগত প্রভাব (Environmental Impact): পরিবেশের ওপর পরিবাহীর প্রভাব বিবেচনা করা উচিত।
- তাপ সহনশীলতা (Heat Tolerance): উচ্চ তাপমাত্রায় ব্যবহারের জন্য তাপ সহনশীল পরিবাহী নির্বাচন করতে হবে।
- নমনীয়তা (Flexibility): তারের ক্ষেত্রে নমনীয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
- ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা (Corrosion Resistance): আর্দ্র বা ক্ষতিকর পরিবেশে ব্যবহারের জন্য ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন পরিবাহী নির্বাচন করতে হবে।
পরিবাহী নিয়ে কিছু সাধারণ ভুল ধারণা (Common Misconceptions About Conductors)
পরিবাহী নিয়ে অনেকের মনে কিছু ভুল ধারণা থাকে। নিচে কয়েকটি সাধারণ ভুল ধারণা এবং তার সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
-
ভুল ধারণা: সব ধাতু ভালো পরিবাহী।
সঠিক ব্যাখ্যা: সব ধাতু পরিবাহী হলেও এদের পরিবাহিতা ভিন্ন। যেমন, লোহার চেয়ে তামা ভালো পরিবাহী। -
ভুল ধারণা: পরিবাহী সবসময় নিরাপদ।
সঠিক ব্যাখ্যা: পরিবাহী সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে বিপজ্জনক হতে পারে। যেমন, নগ্ন তারে হাত দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। -
ভুল ধারণা: প্লাস্টিক পরিবাহী।\
**সঠিক ব্যাখ্যা:** প্লাস্টিক অন্তরক, পরিবাহী নয়।
পরিবাহী নিয়ে কিছু মজার তথ্য (Fun Facts About Conductors)
- সোনা খুব ভালো পরিবাহী হলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে এটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় না।
- মানবদেহও সামান্য পরিমাণে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে, কারণ আমাদের শরীরে লবণাক্ত জল আছে।
- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হল ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক তার ধরা, কারণ জল বিদ্যুতের পরিবাহী।
পরিবাহী নিয়ে কিছু প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs about Conductors)
এখানে পরিবাহী নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হল, যা আপনাদের আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে:
-
প্রশ্ন: পরিবাহী কী দিয়ে তৈরি হয়?
উত্তর: পরিবাহী সাধারণত ধাতু দিয়ে তৈরি হয়, যেমন তামা, অ্যালুমিনিয়াম, সোনা, ইত্যাদি। -
প্রশ্ন: সবচেয়ে ভালো পরিবাহী কোনটি?
উত্তর: রুপা (Silver) সবচেয়ে ভালো পরিবাহী। -
প্রশ্ন: পরিবাহী এবং অন্তরকের মধ্যে মূল পার্থক্য কী? \
**উত্তর:** পরিবাহী বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে, কিন্তু অন্তরক বিদ্যুৎ পরিবহনে বাধা দেয়।
-
প্রশ্ন: জল কি পরিবাহী?
উত্তর: বিশুদ্ধ জল পরিবাহী নয়, কিন্তু লবণাক্ত জল পরিবাহী। -
প্রশ্ন: পরিবাহী তারের ওপর প্লাস্টিকের আবরণ কেন থাকে?
উত্তর: প্লাস্টিক অন্তরক হওয়ার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া থেকে বাঁচাতে পরিবাহী তারের ওপর প্লাস্টিকের আবরণ দেওয়া হয়। -
প্রশ্ন: সুপারকন্ডাক্টর (superconductor) কি? \
**উত্তর:** সুপারকন্ডাক্টর হল এমন একটি উপাদান যা কোনো রকম রোধ ছাড়াই বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে, কিন্তু এটি খুব কম তাপমাত্রায় কাজ করে।
ভবিষ্যৎ-এর পরিবাহী: গবেষণা এবং সম্ভাবনা (Future of Conductors: Research and Possibilities)
পরিবাহী নিয়ে বর্তমানে অনেক গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীরা এমন পরিবাহী তৈরির চেষ্টা করছেন, যা আরও বেশি কার্যকর হবে এবং পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর হবে। নিচে কয়েকটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র আলোচনা করা হলো:
-
সুপারকন্ডাক্টর (Superconductors): সুপারকন্ডাক্টর নিয়ে গবেষণা চলছে, যা সাধারণ তাপমাত্রায় কাজ করতে পারবে এবং বিদ্যুতের অপচয় কমাতে সাহায্য করবে।
-
গ্রাফিন (Graphene): গ্রাফিন একটি নতুন উপাদান, যা খুব ভালো পরিবাহী এবং হালকা। এটি ইলেক্ট্রনিক্স শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
-
ন্যানোটেকনোলজি (Nanotechnology): ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার করে আরও ছোট এবং কার্যকর পরিবাহী তৈরি করা সম্ভব।
- বায়ো-ডিগ্রেডেবল পরিবাহী (Bio-degradable Conductors): পরিবেশবান্ধব পরিবাহী তৈরির জন্য গবেষণা চলছে, যা ব্যবহারের পর সহজেই প্রকৃতিতে মিশে যাবে।
উপসংহার (Conclusion)
আশা করি, আজকের আলোচনা থেকে পরিবাহী কাকে বলে এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পরিবাহী আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা দরকার। যদি এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
বিদ্যুৎ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং পরিবাহী এই বিদ্যুতের সুষ্ঠু ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম। তাই পরিবাহীর সঠিক ব্যবহার এবং পরিচর্যা আমাদের সকলের দায়িত্ব। ইলেক্ট্রনিক্স এবং বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
তাহলে, আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ!