উপসর্গ: শব্দের আগে বসে নতুন মানে!
কিরে দোস্ত, কী করছিস? বাংলা ব্যাকরণ? ধুর বাবা, ওসব তো মাথা খারাপ করে দেয়! দাঁড়া, দাঁড়া, পালাচ্ছিস কোথায়? উপসর্গ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি তোকে এমনভাবে বুঝিয়ে দেব, দেখবি জলভাত হয়ে গেছে! চল, শুরু করি!
উপসর্গ জিনিসটা কী, সেটা বুঝিয়ে বলার আগে একটা মজার গল্প বলি। ধর, তুই আর আমি বন্ধু। আমরা দু’জনে মিলে একটা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাই। তোর কাছে বুদ্ধি আছে, আমার কাছে একটু টাকা আছে। কিন্তু শুধু বুদ্ধি আর টাকা থাকলেই তো আর ব্যবসা সফল হবে না, তাই না? ব্যবসার শুরুতে কিছু ‘উপসর্গ’ বা সমস্যা আসতে পারে, যেমন – কাঁচামালের অভাব, ক্রেতাদের চাহিদা বোঝা, ইত্যাদি।
ব্যাকরণের উপসর্গও অনেকটা তেমনই! এরা নিজেরা একা কোনো মানে তৈরি করতে পারে না, কিন্তু যখন কোনো শব্দের আগে এসে বসে, তখন শব্দটার পুরো মানেটাই বদলে দেয়! কেমন, ইন্টারেস্টিং লাগছে তো? তাহলে চল, এবার একটু ডিটেইলসে যাওয়া যাক।
উপসর্গ কাকে বলে?
সহজ ভাষায় বললে, উপসর্গ হলো কিছু অব্যয় বা শব্দাংশ, যেগুলো অন্য শব্দের আগে বসে শব্দটির অর্থের পরিবর্তন ঘটায়, নতুন অর্থ তৈরি করে অথবা বিশেষত্ব যোগ করে। উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই, কিন্তু এরা শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে অর্থের নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
ব্যাকরণের ভাষায়, “উপসর্গ সেইসব অব্যয়সূচক শব্দাংশ, যা অন্য শব্দের পূর্বে যুক্ত হয়ে শব্দটির অর্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ কিংবা সংকোচন ঘটিয়ে নতুন শব্দ গঠন করে।”
বিষয়টা একটু কঠিন লাগছে, তাই তো? চল, একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিই। ধর, একটি শব্দ হলো “হার”। “হার” মানে আমরা সাধারণত বুঝি পরাজিত হওয়া। কিন্তু এই “হার” শব্দটির আগে যদি “প্র” উপসর্গটি যোগ করি, তাহলে শব্দটি হয়ে যায় “প্রহার”। যার মানে হলো আঘাত করা বা মারা। দেখলে তো, একটি উপসর্গ যোগ করার কারণে শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ বদলে গেল!
উপসর্গের প্রকারভেদ
বাংলা ভাষায় উপসর্গ প্রধানত তিন প্রকার:
- বাংলা উপসর্গ
- সংস্কৃত উপসর্গ
- বিদেশী উপসর্গ
বাংলা উপসর্গ
বাংলা উপসর্গগুলো খাঁটি বাংলা শব্দ থেকে এসেছে। এগুলো সাধারণত তদ্ভব শব্দ বা দেশী শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে। বাংলা উপসর্গগুলো হলো:
-
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
-
যেমন: অ (অকাজ), অঘা (অঘাচণ্ডী), আ (আকাশ), আন (আনমনা), কু (কুনজর), নি ( নিখুঁত), স (সকাল), সা ( সাফসুতরো), হা (হাভাতে)।
-
এই উপসর্গগুলো শব্দের শুরুতে বসে নতুন অর্থ তৈরি করে। যেমন, “কাজ” শব্দের আগে “অ” বসিয়ে “অকাজ” (খারাপ কাজ) শব্দটি তৈরি হয়েছে। এখানে “অ” উপসর্গটি “কাজ” শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে দিয়েছে।
সংস্কৃত উপসর্গ
সংস্কৃত উপসর্গগুলো বাংলা ভাষায় সরাসরি সংস্কৃত থেকে এসেছে। এগুলো সাধারণত তৎসম শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে। সংস্কৃত উপসর্গগুলো হলো:
-
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অব, অনু, নির, দুর্, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।
-
যেমন: প্র (প্রভাত), পরা (পরাক্রম), অপ (অপমান), অনু (অনুমান), অভি (অভিমান), অতি (অতিরিক্ত), উপ (উপহার)।
-
সংস্কৃত উপসর্গগুলো শব্দের অর্থের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যেমন, “জয়” শব্দের আগে “বি” উপসর্গ যোগ করে “বিজয়” (জয়লাভ) শব্দটি তৈরি হয়েছে।
বিদেশী উপসর্গ
বাংলা ভাষায় কিছু বিদেশী উপসর্গও ব্যবহৃত হয়, যেগুলো বিভিন্ন বিদেশী ভাষা থেকে এসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
-
আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বদ্, বে, ফি, ব, বর, বাজে, শা।
- যেমন: আম (আমজনতা), খাস (খাসমহল), লা (লাজবাব), বদ্ (বদমেজাজ), বে (বেয়াদব)।
-
ফারসি উপসর্গ: কম, না, নিম, ফি, বদ্, বে, বর।
- যেমন: কম (কমজোর), না (নারাজ), নিম (নিমরাজি), ফি (ফি বছর)।
-
ইংরেজি উপসর্গ: ফুল, হাফ, হেড, সাব।
* যেমন: **ফুল** (ফুলহাতা), **হাফ** (হাফপ্যান্ট), **হেড** (হেডমাস্টার), **সাব** (সাব-ইন্সপেক্টর)।
- এই উপসর্গগুলো বিদেশী ভাষা থেকে এসে বাংলা ভাষায় প্রচলিত হয়েছে এবং নতুন শব্দ গঠনে সাহায্য করছে।
উপসর্গের কাজ কী?
উপসর্গের প্রধান কাজ হলো শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটানো। তবে এর বাইরেও উপসর্গের আরও কিছু কাজ রয়েছে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো:
- নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি: উপসর্গ শব্দের আগে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে। যেমন: “হার” থেকে “আহার”, “বিহার”, “পরিহার”, “প্রহার” ইত্যাদি।
- শব্দের অর্থের পূর্ণতা দান: অনেক সময় উপসর্গ ব্যবহারের মাধ্যমে শব্দের অর্থ আরও স্পষ্ট বা পরিপূর্ণ হয়। যেমন: “দর্শন” একটি সাধারণ শব্দ, কিন্তু “সম্যক্ দর্শন” বললে দর্শনের গভীরতা বোঝায়।
- শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ: উপসর্গ যোগ করে শব্দের অর্থের ব্যাপকতা বাড়ানো যায়। যেমন: “ভ্রমণ” মানে শুধু ঘোরা, কিন্তু “পরিভ্রমণ” মানে ব্যাপক এলাকা জুড়ে ঘোরা।
- শব্দের অর্থের সংকোচন: কিছু উপসর্গ শব্দের অর্থকে সংকুচিত করে দেয়। যেমন: “খ্যাতি” মানে পরিচিতি, কিন্তু “অখ্যাতি” মানে দুর্নাম বা খারাপ পরিচিতি।
- শব্দের অর্থের পরিবর্তন: উপসর্গ যোগ করে শব্দের সম্পূর্ণ অর্থ পরিবর্তন করা যায়। যেমন: “জয়” মানে জয়লাভ করা, কিন্তু “পরাজয়” মানে হেরে যাওয়া।
কতগুলো উপসর্গ আছে?
বাংলা ভাষায় উপসর্গের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা আছে। নিচে বাংলা, সংস্কৃত এবং বিদেশী উপসর্গগুলোর সংখ্যা উল্লেখ করা হলো:
- বাংলা উপসর্গ: বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গের সংখ্যা ২১টি।
- সংস্কৃত উপসর্গ: সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা ২০টি।
- বিদেশী উপসর্গ: বিদেশী উপসর্গের সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়, কারণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাষা থেকে উপসর্গ বাংলা ভাষায় যুক্ত হয়েছে।
উপসর্গ চেনার সহজ উপায়
উপসর্গ চেনার জন্য কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে:
-
উপসর্গ সবসময় শব্দের আগে বসবে।
-
উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থ থাকবে না।
-
উপসর্গ যুক্ত হয়ে নতুন একটি অর্থবোধক শব্দ তৈরি করবে।
-
যেমন: “আ” একটি উপসর্গ। এটি “গমন” শব্দের আগে যুক্ত হয়ে “আগমন” শব্দটি তৈরি করে, যার অর্থ “আসা”।
-
শব্দের সাথে যুক্ত অংশটুকু আলাদা করলে যদি কোনো অর্থ না থাকে, তাহলে সেটি উপসর্গ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিভিন্ন পরীক্ষায় উপসর্গ
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, যেমন বিসিএস, পিএসসি, এবং অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উপসর্গ থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। সাধারণত উপসর্গ নির্ণয়, উপসর্গের প্রকারভেদ, এবং উপসর্গ দিয়ে গঠিত শব্দ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তাই, এই বিষয়টি ভালোভাবে আয়ত্ত করা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- একটি উপসর্গ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন, ‘অ’ উপসর্গটি অভাব, অনীহা, অমঙ্গল ইত্যাদি অর্থে ব্যবহৃত হয়।
- কোনো শব্দে একাধিক উপসর্গও যুক্ত হতে পারে। যেমন, ‘অনাদর’ শব্দটিতে ‘অ’ এবং ‘না’ দুটি উপসর্গ যুক্ত হয়েছে।
উপসর্গ নিয়ে কিছু মজার উদাহরণ
ব্যাকরণ জিনিসটাই কেমন যেন একটু কাঠখোট্টা, তাই না? কিন্তু আমরা তো সবকিছু একটু মজা করে শিখতে ভালোবাসি। তাই চলো, উপসর্গ দিয়ে কয়েকটা মজার উদাহরণ দেখে আসি:
- “ভরপেট” – “পেট” তো বুঝলাম, কিন্তু “ভর” টা কী? পেট যখন একদম কানায় কানায় পূর্ণ, তখন সেটা “ভরপেট”।
- “অকালকুষ্মাণ্ড” – এটা দিয়ে বোঝায় অপদার্থ বা অকর্মা। “কুষ্মাণ্ড” মানে তো কুমড়ো, কিন্তু “অকালকুষ্মাণ্ড” মানে একটা কুমড়ো, যেটা অসময়ে পেকে গেছে! মানে, সে কাজের না।
- “ইতিহাস” – “ইতি” মানে শেষ, আর “আস” মানে ছিল। তার মানে, “ইতিহাস” হলো যা ছিল, যা শেষ হয়ে গেছে, তারই গল্প।
- “অনাচার” – “আচার” মানে যা পালন করা হয়, কিন্তু “অনাচার” মানে যা পালন করা উচিত না, খারাপ কাজ।
কেমন লাগছে, ব্যাকরণটা একটু একটু ইন্টারেস্টিং লাগছে না?
দৈনন্দিন জীবনে উপসর্গ
আমরা হয়তো সবসময় খেয়াল করি না, কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উপসর্গের ব্যবহার প্রচুর। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:
- আমরা প্রতিদিন “প্রভাত” বেলায় ঘুম থেকে উঠি। এখানে “প্র” একটি উপসর্গ, যা “ভাত” শব্দের আগে বসে একটি নতুন শব্দ তৈরি করেছে।
- “অফিস”-এ “বেতন” পাওয়ার পরে আমরা খুশি হই। এখানে “বে” একটি উপসর্গ।
- “পরিবার”-এর সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে। এখানে “পরি” একটি উপসর্গ, যা “বার” শব্দের আগে বসে একটি নতুন শব্দ তৈরি করেছে।
ফ্রিকোয়েন্টলি আস্কড কোয়েশ্চনস (FAQ)
তোমার মনে নিশ্চয়ই এতক্ষণে অনেক প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, তাই না? চিন্তা নেই, আমি আছি তো! চলো, কিছু কমন প্রশ্ন আর তার উত্তর জেনে নেই:
উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?
উপসর্গ এবং প্রত্যয়—দুটোই শব্দগঠনে সাহায্য করে, তবে এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। নিচে একটি টেবিলের মাধ্যমে এদের পার্থক্য দেখানো হলো:
বৈশিষ্ট্য | উপসর্গ | প্রত্যয় |
---|---|---|
অবস্থান | শব্দের আগে বসে | শব্দের পরে বসে |
কাজ | নতুন অর্থ সৃষ্টি করে, অর্থের পরিবর্তন ঘটায় | নতুন শব্দ তৈরি করে, শব্দের প্রকার পরিবর্তন করে |
নিজস্ব অর্থ | সাধারণত নিজস্ব অর্থ নেই | নিজস্ব অর্থ থাকতে পারে |
কোনো শব্দে উপসর্গ আছে কিনা, তা কিভাবে বুঝব?
কোনো শব্দে উপসর্গ আছে কিনা, তা বোঝার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারো:
- শব্দটিকে ভাঙার চেষ্টা করো।
- যদি ভাঙার পরে একটি অংশের কোনো অর্থ না থাকে, কিন্তু অন্য অংশের অর্থ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে প্রথমে থাকা অংশটি উপসর্গ।
- উপসর্গ যুক্ত হওয়ার পরে শব্দটির অর্থের পরিবর্তন হবে।
- যেমন: “অভিমান” শব্দটিকে ভাঙলে “অভি” এবং “মান” পাওয়া যায়। এখানে “মান” শব্দের অর্থ থাকলেও “অভি” এর নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। সুতরাং, “অভি” একটি উপসর্গ।
একই উপসর্গ কি ভিন্ন শব্দে ভিন্ন অর্থ দিতে পারে?
হ্যাঁ, একই উপসর্গ ভিন্ন শব্দে ভিন্ন অর্থ দিতে পারে। উপসর্গের অর্থ সবসময় শব্দের ওপর নির্ভর করে।
- উদাহরণস্বরূপ, “বি” উপসর্গটি “জয়” শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে “বিজয়” (জয়লাভ) অর্থ দেয়, আবার “ফল” শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে “বিফল” (ব্যর্থ) অর্থ দেয়।
উপসর্গ কি শব্দের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে?
সাধারণভাবে, উপসর্গ সরাসরি শব্দের লিঙ্গ পরিবর্তন করে না। লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য বাংলা ব্যাকরণে আলাদা নিয়ম রয়েছে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গ ব্যবহারের কারণে শব্দের অর্থে এমন পরিবর্তন আসতে পারে, যা লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন তৈরি করতে পারে।
বাংলা ব্যাকরণে কয়টি উপসর্গ আছে?
বাংলা ব্যাকরণে তিন ধরনের উপসর্গ পাওয়া যায়:
- বাংলা উপসর্গ: ২১টি
- সংস্কৃত উপসর্গ: ২০টি
- বিদেশী উপসর্গ: এর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়, তবে বহুল ব্যবহৃত কিছু উপসর্গ রয়েছে।
“অ” উপসর্গ দিয়ে কয়েকটি শব্দ তৈরি করুন।
“অ” উপসর্গ দিয়ে তৈরি কয়েকটি শব্দ নিচে দেওয়া হলো:
- অকাল
- অকাজ
- অটল
- অজানা
- অভাব
- অমানবিক
- অমূল্য
মোটকথা, উপসর্গ হলো শব্দের বন্ধু। এরা শব্দের আগে বসে তার রূপ, রস, গন্ধ—সবকিছু পরিবর্তন করে দেয়! তাই, উপসর্গকে ভয় না পেয়ে, ভালোবাসতে শেখো। দেখবে, ব্যাকরণও তোমার বন্ধু হয়ে যাবে!
উপসংহার
তাহলে আজকে আমরা কী শিখলাম? উপসর্গ কী, কত প্রকার, এদের কাজ কী, এবং কীভাবে সহজে চেনা যায়—এসব কিছুই আমরা আলোচনা করলাম। ব্যাকরণের এই অংশটি ভালোভাবে বুঝতে পারলে শব্দগঠন এবং ভাষার ব্যবহার আরও সহজ হয়ে যাবে।
তো, কেমন লাগলো আজকের আলোচনা? আশা করি, উপসর্গের বিষয়ে তোমার ধারণা এখন অনেকটাই পরিষ্কার। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট বক্সে জানাও। আর হ্যাঁ, বন্ধুদের সাথে এই ব্লগটি শেয়ার করতে ভুলো না! কে জানে, হয়তো তোমার এক শেয়ারেই তাদের ব্যাকরণের ভয় দূর হয়ে যাবে! ভালো থেকো, আর বাংলা ভাষার সাথে জুড়ে থেকো। আবার দেখা হবে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে, ততদিনের জন্য বিদায়!