ভাবসম্প্রসারণঃ বিশ্রাম কাজের অঙ্গ এক সঙ্গে গাঁথা, নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ বিশ্রাম কাজের অঙ্গ এক সঙ্গে গাঁথা, নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

বিশ্রাম কাজের অঙ্গ এক সঙ্গে গাঁথা, নয়নের অংশ যেন নয়নের পাতা

মূলভাব: বিশ্রাম এবং কাজ একে অপরের পরিপূরক। একটির জন্যেই অপরটির প্রয়োজন। সম্প্রসারিত ভাব : ফুলের পাপড়ি ছুঁয়ে উড়ে বেড়ায় যে প্রজাপতি, সে একসময় ডানা গুটিয়ে নিশ্চল হয়ে বসে। যে মানুষটি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে গাঁইতি চালিয়ে পাথর ভাঙে, সেও হাতিয়ার ফেলে দু দণ্ড দাঁড়ায়। এই যে ক্ষণিক বিরতি, এই যে এতটুকু বিশ্রাম, এ শুধু ক্লান্তি দূর করে না নতুন কর্মপ্রেরণায় ও উদ্যমে উজ্জীবিত করে পরবর্তী কাজের জন্যে প্রস্তুতও করে। কাজের ফাঁকে বিরাম বা বিশ্রামের সময়টুকু হলো অপরিহার্য অবকাশ’। বিশ্রাম কাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি; জীবনে আনে সমৃদ্ধি। আর বিশ্রাম আনে কাজে উদ্যম, শক্তি ও প্রেরণা। পরিশ্রমের পর শ্রান্ত ও ক্লান্ত দেহকে সুস্থ করে হারানো উদ্যম ফিরিয়ে আনার জন্যে বিশ্রামের প্রয়োজন। তেমনি বিশ্রামের পর দেহের কর্মস্পৃহাকে সচল রাখার জন্যে নিয়মিত শ্রমেরও প্রয়োজন। দেহের পক্ষে একটানা পরিশ্রম যেমন ক্ষতিকর, তেমনই একটানা বিশ্রামও সুখকর নয় । একটানা বিশ্রাম জীবনকে করে তোলে অলস, অচল ও কর্মবিমুখ। পক্ষান্তরে একটানা পরিশ্রমের ফলে দেহমনে ভর করে অবসাদ, হ্রাস পায় দেহের কর্মক্ষমতা। চোখের পাতা যেমন চোখের জন্য অপরিহার্য তেমনই বিশ্রামও পরিশ্রমের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। মন্তব্য : কাজ ও বিশ্রাম পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু একতরফা কাজ অথবা বিশ্রাম কোনোটিই জীবনের জন্যে কল্যাণকর নয়। কাজের পাশাপাশি বিশ্রাম, বিশ্রামের পাশাপাশি কাজ করা উচিত।
Read More:  রচনাঃ একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।
Fahim Raihan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *