আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “
অর্থই অনর্থের মূল“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
অর্থই অনর্থের মূল
মূলভাব: অর্থ মানুষের সকল কর্মের চালিকাশক্তি হলেও এ অর্থই বিভিন্ন অনর্থের অর্থাৎ দুঃখজনক পরিস্থিতির সূত্রপাত ঘটায় ।
সম্প্রসারিত ভাব : পৃথিবীর সহিংস কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে অর্থের ভূমিকা। পার্থিব জগতের ভালো-মন্দ সকল কাজের পেছনে রয়েছে অর্থের গুরুত্বপূর্ণ অবদান । অর্থ ছাড়া পৃথিবীর কোনো কাজই সম্পাদন করা সম্ভব নয়। তাই পার্থিব জীবনে অর্থ একটি প্রয়োজনীয় বস্তু। অর্থ বা সম্পদের জন্যে মানুষ জীবন- সংগ্রামে লিপ্ত। মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত অর্থ উপার্জনের জন্যে কঠোর পরিশ্রম করে এবং নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে। পৃথিবীতে অর্থই মানুষের একান্ত কাম্য। কেননা বর্তমান পৃথিবীতে অর্থের মাপকাঠি দিয়েই প্রতিপত্তি ও সম্মান নির্ণীত হয়। বিপদে-আপদে, উৎসবে, জন্ম-মৃত্যুতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন। আবার এ অর্থই পৃথিবীর সমস্ত অমঙ্গলের জন্যে দায়ী। অর্থের লোভে নীতিবর্জিত হয়ে মানুষ অহরহ নানা দুষ্কর্মে লিপ্ত হয়। অর্থের লালসা মানুষের নৈতিক অধঃপতন ঘটায়, অর্থের লোভেই চরিত্রহীন হয়ে মানুষ সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত হয় এবং সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবীর সমস্ত দ্বন্দ্ব, অশান্তি আর সংঘাতের মূল কারণ অর্থ। অর্থ- সম্পদের স্বার্থেই রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যুদ্ধের উন্মাদনা জাগে, শ্রমিক-মালিকে বাঁধে মত-বিরোধ এবং ভাইয়ে-ভাইয়ে শুরু হয় চরম শত্রুতা। অর্থের লোভেই মানুষ মানুষকে খুন করে। জগতের সকল অশান্তি আর অনর্থের উৎসভূমি হলো অর্থ।
মন্তব্য : যে অর্থ মানুষের সামগ্রিক মঙ্গলসাধনে সমর্থ, সে অর্থই আবার যাবতীয় অনর্থের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অর্থ যেন অনর্থের কারণ হতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে ।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।