ভাবসম্প্রসারণঃ জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে চিরস্থির কবে নীর হয় রে জীবন নদে?

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “ জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে চিরস্থির কবে নীর হয় রে জীবন নদে?“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে চিরস্থির কবে নীর হয় রে জীবন নদে?

মূলভাব: মৃত্যু মানুষের অনিবার্য নিয়তি। এর থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ নেই। মৃত্যু আছে বলেই জীবন এত বৈচিত্র্যময় ।

সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ চিরঞ্জীব নয় । একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখার কোনো উপায় আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তাই মৃত্যু অনিবার্য ও শাশ্বত বিধান। প্রকৃতির এই বিধি না মেনে কোনো উপায় নেই। মানবজীবন নদীর জলের মতো। নদীর জোয়ার-ভাটার মতো মানবজীবনেও হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, উত্থান-পতন আবশ্যিকভাবে বিদ্যমান। এই পরস্পরবিরোধী জাগতিক নিয়মের বশবর্তী হয়েই মানুষ জীবন অতিবাহিত করে। নদীর জল যেমন কখনো স্থির থাকে না তেমনি মানুষের জীবনও স্থির নয়। জন্ম দিয়ে মানুষের জীবনের শুরু আর মৃত্যুতে তার পরিসমাপ্তি। তাই মৃত্যুকে ভয় পাবার কিছু নেই। শাশ্বত এ সত্যকে ইতিবাচকভাবে নিতে হবে। মৃত্যুকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা না করে কর্ম দিয়ে মৃত্যুকে জয় করতে হবে। কেননা মানুষের দেহ নশ্বর হলেও কর্ম অবিনশ্বর। কর্ম মানুষকে পৃথিবীতে অমর করে রাখে। তাই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হবে সানন্দে।

মন্তব্য :  প্রতিটি জীবকেই একদিন মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হবে । তাই মৃত্যুভয়ে ভীত না হয়ে মৃত্যুর পরও অমর হয়ে থাকার সাধনায় জীবনকে কাজে লাগাতে হবে ।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Read More:  ভাবসম্প্রসারণঃ পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন মন সকলি দাও, তার মত সুখ কোথাও কি আছে, আপনার কথা ভুলিয়া যাও
Fahim Raihan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *