আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ শেয়ার করব “
উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে“। এই ভাবসম্প্রসারণটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এইভাবসম্প্রসারণটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।
উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে
মূলভাব: উত্তম চরিত্রের মানুষ হীন ব্যক্তির সাহচর্যকে ভয় পান না। কিন্তু যিনি মধ্যম তিনি উত্তম আর অধমের বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে জীবনচলার পথে অগ্রসর হতে চান ।
সম্প্রসারিত ভাব : উত্তম ব্যক্তিকে সব দিক থেকেই সচেতন থাকতে হয় । তিনি নিজের মর্যাদাকে সর্বাবস্থায় সমুন্নত রাখতে চান । অধম যে, সে তার কর্মের জন্যেই হীন ও ঘৃণার পাত্র। তার চরিত্রের কোনো সৌন্দর্য নেই। কাজেকর্মে সে সকলেরই অবজ্ঞা আর অবহেলার পাত্র। অন্যদিকে, মধ্যম শ্রেণির লোকজন দৃঢ়চিত্তের অধিকারী হন না। তাঁদের মধ্যে যেমন কিছু ভালো গুণ থাকে, তেমনই থাকে কিছু মন্দ বৈশিষ্ট্য। কোনো বিষয়েই তার পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাস নেই। উত্তম চরিত্রের মানুষকে দেখে তাঁরা হীনম্মন্যতা ও অপরাধবোধে ভোগেন। অধমের কাছ থেকে তাঁরা দূরে দূরে থাকেন। তাঁদের মধ্যে এ ভাবনা কাজ করে যে, অধমের সংস্পর্শে এলে তাঁরা হয়তো অধম হয়ে যেতে পারেন। এজন্যে তাঁরা উত্তম এবং অধম উভয় শ্রেণির মানুষকেই এড়িয়ে যান। অন্যদিকে, যিনি উত্তম, তিনি অধমের সাথে মিশতে ভয় পান না। পাপীর কলঙ্ক তাঁকে কলঙ্কিত করতে পারে না। তিনি স্বভাবতই সত্যসন্ধানী। নিজের পথে অটল থাকার গুণ তাঁর মাঝে রয়েছে। তাই অধমের অন্যায়, অসত্য, পাপ আর মন্দ কাজ তাঁকে তাঁর অবস্থান থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারে না।
মন্তব্য : উত্তম ব্যক্তি মধ্যম আর অধমের সঙ্গে সহজেই মিশতে পারেন। কারণ অবস্থান-বিচ্যুতির ভয় তাঁর নেই। কিন্তু মধ্যমকে উত্তম আর অধমের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয় নিজের আত্মবিশ্বাসহীন ও অস্থিতিশীল বৈশিষ্ট্যের জন্যে।
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে ভাব সম্প্রসারণ যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।