Bongo Tuner
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলা
    • নির্মিতি
      • রচনা
        • ভাবসম্প্রসারণ
  • English
    • Composition
    • Paragraph
  • HSC
  • গদ্য ও পদ্য
  • ছেলেদের নামের অর্থ
  • মেয়েদের নামের অর্থ
No Result
View All Result
Bongo Tuner
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

রচনাঃ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ

Fahim Raihan by Fahim Raihan
May 14, 2024
in নির্মিতি, বাংলা, রচনা
0
রচনাঃ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ

0
SHARES
2
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter
ADVERTISEMENT
Get Latest Updates

আজকের পোস্টে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা শেয়ার করব “জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ“। এই রচনাটি আশা করি তোমাদের পরীক্ষায় কমন আসবে। আমরা এই রচনাটি যত সম্ভব সহজ রাখার চেষ্টা করেছি – তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে। চলো শুরু করা যাক।

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ

ভূমিকা : মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু, স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ। এ প্রাকৃতিক পরিবেশের মূল উপাদান হলো জীব। ছোটবড় বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীব প্রভৃতির সমন্বয়ে গড়ে ওঠে জীব সম্প্রদায় বা জীববৈচিত্র্য। মাটি, নদী, গভীর সমুদ্র সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা প্রজাতির জীব। এ জীববৈচিত্র্যই পরিবেশের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে। কেবল পরিবেশের নিয়ন্ত্রকই নয়, মানুষের জীবনযাত্রার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোও এরাই জোগান দিয়ে থাকে। আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান প্রভৃতির জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরা এই জীব সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের হলেও এ কথা সত্য যে, আমাদের বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে এই জীববৈচিত্র্য প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত বন উজাড় হচ্ছে, পানি দূষিত হচ্ছে।  এর ফলে প্রতিনিয়ত নানা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা ।

জীববৈচিত্র্য কী : জীববৈচিত্র্য বলতে বোঝায় উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীবসহ পৃথিবীর গোটা জীবসম্ভার, তাদের অন্তর্গত জিন ও সেগুলোর সমন্বয়ে গঠিত বাস্তুতন্ত্র । তিনটি বিভিন্ন পর্যায়ে এগুলো বিবেচ্য- বংশানুসৃত বৈচিত্র্য, প্রজাতি বৈচিত্র্য ও রাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য। বংশানুগত বৈচিত্র্যের মাত্রা সংখ্যায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয় । এটি প্রজাতি বৈচিত্র্য অপেক্ষা বহুগুণে অধিক । বিজ্ঞানীদের নানা হিসাব অনুসারে প্রজাতি সংখ্যা (জীবন্ত) ৩০ লাখ থেকে ৩ কোটি। তাতে আছে ২ লাখ ৫০ হাজার উদ্ভিদ, ৭৫ লাখ কীটপতঙ্গ, ৪১ হাজার মেরুদণ্ডী; বাকিরা অমেরুদণ্ডী, ছত্রাক, শৈবাল ও অণুজীব। জীববৈচিত্র্য প্রজাতি বিলুপ্তি ঠেকাতে সহায়তা জোগায়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা : জীববৈচিত্র্য মানে প্রাণের বৈচিত্র্য। কোনো প্রাণিগোষ্ঠীই স্বনির্ভর নয়; জীবনধারণের তাগিদে অন্য প্রাণিগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করতে হয় প্রতিনিয়ত। যে স্থানে জীববৈচিত্র্য যত বেশি, সেখানকার প্রাণিগোষ্ঠীগুলোর জীবনধারণ সেখানে তত সহজ । নিচে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

১. খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা : জীববৈচিত্র্য নেই— আমাদের খাদ্যও নেই । আজ থেকে প্রায় ১২ হাজার বছর আগে কৃষিকাজ শুরুর পর থেকে মানুষ প্রায় ৭ হাজার উদ্ভিদ ও কয়েক হাজার প্রাণীর ওপর তার খাদ্যের জন্য নির্ভরশীল। বৈশ্বিক খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উৎস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।

২. চিকিৎসা : আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রবর্তিত হওয়ার আগে মানুষ চিকিৎসার জন্য চারপাশের গাছপালা-লতাপাতার ওপর নির্ভরশীল ছিল যুগ যুগ ধরে । এখনও উন্নয়নশীল বিশ্বের কোটি কোটি জনগোষ্ঠী যাদের দোরগোড়ায় আধুনিক চিকিৎসার ছোঁয়া পৌঁছায় না, তারা প্রথাগত চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল । আর এই প্রথাগত চিকিৎসার একমাত্র উৎস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার উদ্ভিদ প্রজাতিকে মানুষ প্রথাগত ও আধুনিক চিকিৎসায় ব্যবহার করছে।

৩. প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা : একটি সুনির্দিষ্ট প্রাকৃতিক ভারসাম্য দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য গঠিত। এর মধ্যে দু- একটি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেলে ঐ এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং পরিবেশ এক বিরাট বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে । তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অনিবার্য ।

Read More:  রচনাঃ বিশ্ব যোগাযোগে ইন্টারনেটের ভূমিকা

৪. ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখার জন্য : এখন নগণ্য কোনো উদ্ভিদ থেকে ভবিষ্যতে অতি মূল্যবান যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার হতে পারে, যা দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কোনো কঠিন দুরারোগ্য রোগ থেকে রক্ষা করা যাবে। তাই ভবিষ্যতের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সকল উদ্ভিদকেই সংরক্ষণ করতে হবে।

৫. জেনেটিক জার্মপ্লাজম রক্ষা : আমাদের বনে-জঙ্গলে ফসলি উদ্ভিদের নিকট সম্পর্কযুক্ত অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী আছে। এগুলো সাধারণত রোগ প্রতিরোধক্ষম, জরা প্রতিরোধক্ষম এবং অন্যান্য উপকারী ও প্রয়োজনীয় জিনসমৃদ্ধ। ভবিষ্যতে ফসলি উদ্ভিদের উন্নতি সাধনের জন্য এসব জিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখন থেকেই জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে।

৬. গতিশীল ইকোসিস্টেম ও বিবর্তনের জন্য : সকল জীববৈচিত্র্য সম্মিলিতভাবে কোনো ইকোসিস্টেমকে গতিশীল রাখে। আর গতিশীল ইকোসিস্টেমই প্রজাতির বিবর্তনে সাহায্য করে। গতিশীল ইকোসিস্টেম এবং বিবর্তনের ধারা অব্যাহত না থাকলে পরিবর্তিত পরিবেশে হঠাৎ করেই জীববৈচিত্র্যের এক বিরাট অংশ অভিযোজন ক্ষমতা হারিয়ে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

৭. সুস্থ পরিবেশের জন্য : পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত নিশ্চিতকরণ, মরুকরণ রোধ, ভূমিকম্প রোধ, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস রোধ ইত্যাদি সার্থকভাবে সম্পন্ন করতে পারে পর্যাপ্ত সংখ্যক বৃক্ষরাজি-লতাগুল্ম। ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম । জীববৈচিত্র্যের আধার সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলো পৃথিবীর ১৫ ভাগ কার্বন সংবন্ধন করছে।

জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ : নানা কারণে জীববৈচিত্র্য আজ ধ্বংসের সম্মুখীন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির তীব্রতাসহ বহুমাত্রিক সংকটের নিষ্ঠরতা আমাদের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ করছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন, ভূগর্ভস্থ পানির স্বেচ্ছাচারী ব্যবহার, বনজঙ্গল ধ্বংস করে বসত সৃষ্টি, প্রকৃতির বিরল দান পাহাড়-পর্বত কর্তন, নদী-নালার যথাযথ সংরক্ষণের সমন্বয়হীনতা, আন্তর্জাতিক নদীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব, নদীভাঙন, দেশি-বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির প্রকৃতিবিরোধী আগ্রাসী কর্মকাণ্ড, তেল-গ্যাসসহ প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার অভাব, যত্রতত্র ইটভাটা প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি কারণে পরিবেশ বিধ্বংসী রূপ লাভ করেছে এবং জীববৈচিত্র্য অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন। নিচে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের প্রধান কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :

১. বনভূমি ধ্বংস : নতুন বনভূমি সৃষ্টির ব্যবস্থা না রেখে এবং অন্য বনভূমিগুলোর সুষ্ঠু সংরক্ষণ না করে নির্বিচারে বনভূমি উজাড় করাকে বনভূমি ধ্বংস বলে। বনভূমি ধ্বংসের অনেক কারণ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে মানববসতি স্থাপন, কৃষিজমি সম্প্রসারণ, জ্বালানি সংগ্রহ, বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, জুম চাষ, পশু চারণ, নির্মাণ সামগ্রী আহরণ, পরিবেশ দূষণ, অভিবাসন, মরুকরণ প্রভৃতি। বনভূমি ধ্বংসের ফলে উদ্ভিদ প্রজাতি যেমন হারিয়ে যাচ্ছে তেমনিভাবে বনে বসবাসকারী প্রাণিকুলও ধ্বংস হচ্ছে। তারা আশ্রয়ের আশায় লোকালয়ে আসছে এবং মানুষের নির্মমতার শিকার হচ্ছে।

২. তেজস্ক্রিয়তা : চিকিৎসাক্ষেত্রে, উদ্ভিদবিজ্ঞানে, পরমাণু শক্তি ও অস্ত্র উৎপাদনে তেজস্ক্রিয়তার ব্যাপক ব্যবহার হয় । আয়োনিত এই তেজস্ক্রিয়তা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিরূপ পরিবেশে উদ্ভিদ এবং প্রাণিকুলের স্বাভাবিক জীবনধারা ব্যাহত হয় ।

Read More:  ভাবসম্প্রসারণঃ সুসময়ে বন্ধু বটে অনেকেই হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারও নয়

৩. পানিদূষণ : পানিদূষণের কারণে পানিতে বসবাসকারী মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী বিলুপ্তির সম্মুখীন। নর্দমার ময়লা, কাগজ ও কাগজমণ্ড, বস্ত্র, চিনি, সার, লৌহ জাতীয় ধাতু, চামড়া ও রাবার, ওষুধ ও রাসায়নিক শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পানিকে দূষিত করছে। এসকল বর্জ্য নদী বা পুকুরের জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যু ঘটায়। পানিতে তেলের সংমিশ্রণ অথবা পানির ওপর তেলের বিস্তার জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রভূত ক্ষতিসাধন করে। বিশেষ করে সমুদ্রে তেল বহনকারী ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত তেল দুর্ঘটনার ফলে নির্গত হলে পানিতে মিশে যায় এবং বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জীবকুলের ক্ষতি করে ।

গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া : বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারে অবস্থিত কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন-নাইট্রাস অক্সাইড ও ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাসসমূহের মাত্রা বেড়ে গেলে সূর্যরশ্মি যখন ভূপৃষ্ঠে এসে তাপরূপে পুনর্বিকিরিত হতে পারে না বরং উল্লিখিত গ্যাসগুলো তা শুষে নেয় ফলে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়, তখন এ অবস্থাকে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া বলে । গ্রিনহাউস. প্রতিক্রিয়ার ফল অত্যন্ত ভয়াবহ। এর ফলে পৃথিবীর উত্তরাঞ্চলের বনভূমির অধিকাংশ বিলীন হবে, সেই সঙ্গে বিলীন হবে জীববৈচিত্র্যের বিরাট অংশ। পৃথিবীর অনেক বনভূমি ও বন্যপ্রাণীই হুমকির সম্মুখীন হবে। অনেক উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র যেমন— নোনা পানির জলাশয়, ম্যানগ্রোভ জলাশয়, প্রবাল প্রাচীর ও নদীজ বদ্বীপ বিপন্ন হয়ে পড়বে। এ ছাড়াও বায়ুদূষণ, ভূমিক্ষয়, মরুকরণ প্রভৃতি কারণে প্রতিনিয়ত জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।

জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের ফলাফল : জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণে খাদ্যশৃঙ্খল বিনষ্ট হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। বনভূমি ধ্বংসের কারণে মানুষের খাদ্যের উৎস বিনষ্ট হওয়ার ফলে খাদ্যাভাব দেখা দিচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষিজমি উর্বরাশক্তি হারাচ্ছে এবং জমিদূষণ, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণ, তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়ে আমরা প্রতিনিয়ত নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে সামর্থ্যহীন হচ্ছি। জলবায়ুর পরিবর্তনে আমাদের উপকূলীয় ১৭ জেলার ১৩২ উপজেলার প্রায় ৩-৪ কোটি জনসংখ্যা এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের মূল্যবান সম্পদ ‘সুন্দরবন’ সরাসরি হুমকির মুখে পড়ছে। হিসাব করে দেখা গেছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে বাংলাদেশের তিন ভাগের এক ভাগ পানিতে তলিয়ে যাবে। ৩-৪ কোটি লোক ভূমিহীন হবে এবং মোট খাদ্য উৎপাদন ৩০-৪০ ভাগ হ্রাস পাবে। খাদ্য ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষায় মাছের গুরুত্ব সর্বাগ্রে। মৎস্য প্রজাতি ধ্বংসের কারণে ইতোমধ্যে সুস্বাদু অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে আরও ৫৪ প্রজাতি ।

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গৃহীত পদক্ষেপ : জীববৈচিত্র্যের বিশ্ব প্রেক্ষাপট অনুধাবন করে মানবজাতিকে সচেতন করেন মার্কিন সামুদ্রিকবিজ্ঞানী রেচল লুইজ কারসন। মানবজাতির কল্যাণ ও অস্তিত্ব রক্ষায় বাংলাদেশেও অতি উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস । প্রণীত হয় নানা কালাকানুন, আইন-বিধিবিধান। পরিবেশ সংরক্ষণে এ পর্যন্ত ২৩টির অধিক আইন যুগোপযোগী করা হয়েছে। দূষণকারীদের জেল-জরিমানা আদায়ে ৭ ধারা বিধান রেখে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিবেশ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের শক্তিশালী অফিস স্থাপন করা হয়েছে দেশের জেলায় জেলায় । জলবায়ু সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় ট্রাস্ট গঠন করে গত চার বছরে দুই হাজার পাঁচশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জাতিসংঘের উদ্যোগ : বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ২০১৩ সালকে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। জীববৈচিত্র্য বিষয়ক কনভেনশন CBD নানাভাবে জীববৈচিত্র্য বর্ষ উদযাপনে সহায়তা করছে।

Read More:  ভাবসম্প্রসারণঃ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর

জীববৈচিত্র্য বর্ষের উদ্দেশ্য:

১. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি ।

২. জীববৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক মূল্য সম্পর্কে তথ্য বিস্তার ।

৩. জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ ও তা সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে জনমনে ধারণা বৃদ্ধি

৪. ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উৎসাহ প্রদান ।

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় : পরিবেশকে হুমকির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে সর্বপ্রথম জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে। যে সব কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে সে সম্পর্কে সবার অবগত হওয়া প্রয়োজন । জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো নেওয়া যেতে পারে—

১. প্রাকৃতিক পরিবেশের কিছু অংশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা অর্থাৎ সেখানে যেমন অবস্থায় আছে তেমন অবস্থায় রাখা ।

২. যেসব উদ্ভিদ তার পরিবেশেও সমানভাবে জীবনযাপন ও বংশবিস্তার করতে পারে সেগুলো বিভিন্ন উদ্যানে যত্নে রেখে সংরক্ষণ করা।

৩. ভূমিক্ষয় রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।

৪. পরিবেশ সমস্যার সমাধানে তথা জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পানিদূষণ সমস্যার সমাধান অতীব জরুরি। পানিদূষণ রোধ করে পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজনে নদীর আশেপাশে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানাগুলোকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে ।

ADVERTISEMENT

৫. রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক সারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

৬. দেশীয় মাছের আবাসস্থল ও প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ।

৭. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে বেশি করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।

৮. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

৯. পরিবেশ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করে পরিবেশ বিপর্যয়ের সমস্যা সম্পর্কে অধিক প্রচারণা চালানো ।

উপসংহার : জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ব্যাপারে আমাদের এখনই উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। কারণ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত না হলে এ পৃথিবী আমাদের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে এ ধরনের কয়েকটি লক্ষণ দেখা গিয়েছে। কাজেই নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদেই জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে । বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জনগণকে এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে এগিয়ে আসতে পারে এবং সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট থেকে রচনা যেটি তুমি চাচ্ছিলে সেটি পেয়ে গিয়েছ। যদি তুমি আমাদেরকে কোন কিছু জানতে চাও বা এই রচনা নিয়ে যদি তোমার কোনো মতামত থাকে, তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টে জানাতে পারো। আজকের পোস্টে এই পর্যন্তই, তুমি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের বাকি পোস্ট গুলো দেখতে পারো।

Tags: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণরচনা
Previous Post

রচনাঃ সুন্দরবন

Next Post

রচনাঃ রূপসী বাংলাদেশ

Fahim Raihan

Fahim Raihan

Next Post
রচনাঃ রূপসী বাংলাদেশ

রচনাঃ রূপসী বাংলাদেশ

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন
Education

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য: সহজে মনে রাখুন

by Mushfiqur Rahman
May 5, 2025
0

পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য মনে করুন, পরীক্ষার আগের রাতে আপনি সব পড়ে শেষ করেছেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে...

Read more
মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়: জীবন হোক আরও সহজ!

May 5, 2025
পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার দোয়া ও আমল

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

মনোযোগ বৃদ্ধির মেডিটেশন: ফিরে পান একাগ্রতা

May 5, 2025
মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

মনোযোগ বৃদ্ধিতে কৌশল: শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস

May 5, 2025
ADVERTISEMENT
Bongo Tuner

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.

Navigate Site

  • Home
  • About Us
  • Privacy Policy
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy

Follow Us

No Result
View All Result
  • About Us
  • Contact Us
  • Disclaimer
  • DMCA Policy
  • Privacy Policy

© 2024 Bongo Tuner - Best Educational Website Bongo Tuner.